চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ করার দাবি
- আপলোড সময় : ০৪-০৯-২০২৪ ১০:০৭:০০ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৪-০৯-২০২৪ ১০:০৭:০০ পূর্বাহ্ন
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ’। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী করার পাশাপাশি, চাকরির আবেদনে এই বৈষম্য দূর করার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এছাড়া তারা তাদের সাত দফা দাবি উত্থাপন করেছেন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সেমিনারে তারা এ দাবি জানান। এসময় বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- প্রথম শ্রেণি ও দ্বিতীয় শ্রেণি নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ বছর করা। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়সসীমা ৪০ বছর। সব ধরনের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়সসীমা উন্মুক্ত করা। সব প্রকার স্বাস্থ্য, চিকিৎসা নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়সসীমা উন্মুক্ত করা। সব প্রকার আইসিটি নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়সসীমা উন্মুক্ত করা। সব প্রকার আইন সেক্টরে (জেডিসি) নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়সসীমা উন্মুক্ত করা। জরিপের মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে আবেদনের বয়সসীমা উন্মুক্ত করা। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংক-বিমা সবক্ষেত্রে বয়সসীমা উন্মুক্ত করার কথাও বলেন তারা।
এসময় আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, চাকরিতে আবেদন করতে কোনও বয়স থাকার দরকার নেই। চাকরি হবে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে। রাষ্ট্রের যেখানেই বৈষম্য রয়েছে সেটি দূর করতে হবে। দেশকে বৈষম্যহীনভাবে গড়ে তুলতে হবে।
বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে যৌক্তিক দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছেন। সমাজের প্রত্যেক শ্রেণি-পেশার মানুষেরা এই আন্দোলনের বিষয়ে অবগত রয়েছেন। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী ন্যূনতম ৩৫ বছর (শর্ত সাপেক্ষে উন্মুক্ত) করা একেবারেই যৌক্তিক। বর্তমানে চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈষম্য বিদ্যমান রয়েছে, এই বৈষম্য দূর করা আবশ্যক।
তারা আরও বলেন, ৩৫ বয়সসীমা আন্দোলনটি সময়ের সঙ্গে একটি যৌক্তিক আন্দোলন। কিন্তু, বিগত সরকার এই আন্দোলনকে নিয়ে অনেক টালবাহানা করেছে। বিশ্বের প্রায় দেশগুলোতে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ থেকে শুরু করে ৫০ বছর পর্যন্ত রয়েছে। অনেক দেশে আবার যেকোনও বয়সে আবেদন করা যায়। কোনও বয়সসীমা সেখানে নেই। একেবারেই উন্মুক্ত করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বাংলাদেশের সব পর্যায়ে চাকরিতে আবদনের বয়সসীমা আজ থেকে ৩৩ বছর আগে ১৯৯১ সালে ২৭ বছর থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়। যখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৫৭ বছর। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছরে এসে দাঁড়িয়েছে। একারণে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়ানো যৌক্তিক। গড় আয়ু বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ২০১১ সালে অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করা হয়। কিন্তু, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি না করে সেটি ৩০ বছরেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়, যার কারণে দেশে উচ্চ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ